Waters of Life

Biblical Studies in Multiple Languages

Search in "Bengali":
Home -- Bengali -- Romans - 056 (The Absolute Necessity of the Testimony of the Gospel)
This page in: -- Afrikaans -- Arabic -- Armenian-- Azeri-- BENGALI -- Bulgarian -- Cebuano -- Chinese -- English -- French -- Georgian -- Greek -- Hausa -- Hebrew -- Hindi -- Igbo -- Indonesian -- Javanese -- Kiswahili -- Malayalam -- Polish -- Portuguese -- Russian -- Serbian -- Somali -- Spanish -- Tamil -- Telugu -- Turkish -- Urdu? -- Yiddish -- Yoruba

Previous Lesson -- Next Lesson

রোমীয়দের - প্রভুই আমাদের ধার্মিকতা
রোমীয়দের কাছে হযরত পৌলের লেখা পত্রের ওপর পর্যালোচনা
দ্বিতীয় খণ্ড - খোদার বাছাই করা বংশ হযরত ইয়াকুবের সন্তানদের মন কঠিন করা সত্ত্বেও তাঁর ধার্মিকতা সম্পূর্ণ অনড়৷ (রোমীয় ৯:১ - ১১:৩৬)
৪. খোদার ধার্মিকতা কেবল বিশ্বাসেই হয় লব্ধ আর তা কখনোই শরীয়ত পালনের দ্বারা অর্জণ করা সম্ভব নয় (রোমীয় ৯:৩০ - ১০:২১)

গ) ইয়াকুবের বংশের কাছে সুসমাচার প্রচার অত্যাবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে (রোমীয় ১০:৯-১৫)


রোমীয় ১০:৯-১৫
৯. সেই কথা হলো, যদি তুমি ঈসা মসিহকে প্রভু বলে মুখে স্বীকার কর এবং দিলে ঈমান আন যে, আল্লাহ তাঁকে মৃতু্য তেকে জীবিত করে তুলেছেন তবেই তুমি নাজাত পাবে; ১০. কারণ দিলে ঈমান আনবার ফলে আল্লাহ মানুষকে ধার্মিক বলে গ্রহণ করেন আর মুকে স্বীকার করবার ফলে নাজাত দেন৷ ১১. পাক-কিতাব বলে, যে কেউ তাঁর ওপর ঈমান আনে সে নিরাশ হবে হবে৷ ১২. ইহুদি ও অ-ইহুদির মধ্যে কোনে পার্থক্য নেই, কারণ সকলের একই প্রভু৷ যারা তাঁকে ডাকে তিনি তাদের ওপর প্রচুর দোয়া ঢেলে দেন৷ ১৩. পাক-কিতাবে আছে, উদ্ধার পাবার জন্র যে কেউ প্রভুকে ডাকে সে নাজাত পাবে৷ ১৪. কিন্তু যাঁর ওপ তারা ঈমান আনে নি তাঁকে কেমন করে ডাকবে? যাঁর বিষয় তারা শোনে নি তাঁর ওপর কেমন করে ঈমা আনবে? তবলিগকারী না থাকলে তারা কেমন করেই বা শুনবে? ১৫. তা ছাড়া কেউ না পাঠালে কেমন করে তবলিগকারীরা তবলিগ করবে? পাক-কিতাবে লেখা আছে, মোবারক তাদের পা যারা উপকারের সুসংবাদ তবলিগ করতে আসে৷

রোমে ইহুদিদের বংশ থেকে আগত মসিহিদের জামাতের বিরুদ্ধে রুহানি যুদ্ধে পৌল অবতীর্ণ হলেন৷ তিনি তাদের ব্যাখ্যা দিলেন যে প্রচারের অনেকগুলো ধাপ ও বিষয় রয়েছে৷ সত্যিকারের বিশ্বাস শুরু হয় হৃদয় থেকে, কেননা মানুষ বিশ্বাস করে হৃদয় দিয়ে৷ এ ধরণের বিশ্বাসের অর্থ হলো বিশ্বাসীগণ ঘনিষ্টভাবে সংযুক্ত ও আবদ্ধ থাকে তার সাথে যাকে তারা বিশ্বাস করে৷

বিশ্বাসের সাথে মৌখিক সাক্ষ্যের আবশ্যকতা থাকে, কেননা সত্য অবশ্যই অন্ধকার দূর করে দেয়৷ বিশ্বাস ও সাক্ষ্য পরষ্পর অঙ্গাঙ্গিভাবে থাকে যুক্ত৷ এক দিকে সাক্ষ্য বিশ্বাসের বিষয়ের কথা বলে থাকে, শ্রবনকারীগণ যাতে বুঝতে পারে, অন্যদিকে যিনি সাক্ষ্য বহন করেন তিনি তার বিশ্বাসে আরো দৃঢ় মজবুত হয়ে ওঠতে থাকে৷

বিশ্বাসের নিশ্চয়তার বিষয়ে পৌল এবং অন্যান্য সাক্ষীগণ যা প্রকাশ করেছেন তাতে কতকগুলো নীতি ও মতবাদের জন্ম দেয়ঃ

১৷ ঈসা মসিহ হলেন প্রভু৷ গোটা বিশ্বের মালিক হলেন তিনি, আর সমস্ত প্রাধিকার তাঁর হাতে করা হয়েছে ন্যাস্ত৷ হযরত দাউদ পরিষ্কার বর্ণনা দিয়েছেন; মাবুদ আমার প্রভুকে বললেন, যতক্ষণ না আমি তোমার শত্রুদের তোমার পায়ের তলায় রাখি, ততক্ষণ তুমি আমার ডান দিকে বস (যবুর ১১০:১)৷ সাহাবি ইউহোন্না আরো খোলাসা করে বলেছেন, খোদার মেষ শিশু সিংহাসনে সমাসিন আছেন (প্রকাশিত কালাম ৫:১-১৪), পৌল সাক্ষ্য দিয়েছেন সলিবে হত সেই মহিমান্বিত ব্যক্তি মৃতু্য থেকে পুনরুত্থিত হয়ে ওঠলেন যেন মসিহের নামে প্রত্যেক হাটু পতিত হয়, বেহেশতি যারা আছেন, পৃথিবীতে যারা আছে, যারা মাটির মধ্যে আছেন, যেন প্রত্যেক জিহ্বা বেহেশতি পিতার গৌরব প্রকাশের জন্য স্বীকার করে যে ঈসা মসিহই হলেন প্রভু (ফিলিপীয় ২:৫-১১)৷

সংক্ষিপ্ত মন্তব্য 'মসিহ হলেন প্রভু' এ বিশ্বাসই হলো মসিহিয়াতের মেরুদন্ড৷ এর অর্থ হলো মসিহ হলেন সত্যিকারের খোদা, যিনি পবিত্র ত্রিত্ত্বপাকের সাথে রয়েছেন যুক্ত৷ তিনি তার পিতার সাথে পুর্নাঙ্গ সংগতি রেখে বেঁচে আছেন ও শাসন করে চলছেন৷

২৷ মসিহের গৌরব প্রতিষ্ঠা পেয়েছে সেই সত্য ঘটনার মধ্য দিয়ে যা হলো, যাকে সলিবে হত্যা করা হয়েছে তাকে পুনরায় জীবিত করা৷ মসিহিদের বিশ্বাসের দ্বিতীয় ভিত্তি হলো মসিহের পুনরুত্থান, যদি মানুষ্যপুত্র সত্যিকারার্থে পুনরুত্থিত না হতেন, তবে তার দেহ সম্পূর্ণ বিনষ্ট হয়ে যেত৷ কিন্তু তিনি তাঁর কবর থেকে জেগে ওঠেছেন, আর পাথরের দেয়ালের মধ্য দিয়ে রুহানি দেহে তিনি বেরিয়ে এসেছেন৷ মসিহ জীবিত, অথচ অন্যান্য ধর্মের প্রতিষ্ঠাকারী মৃতাবস্থায় পচনশীল দেহে বিলীন অবস্থায় পড়ে আছে৷ মসিহের পুনরুত্থান তাঁর পবিত্রতা, বিজয়, ক্ষমতা ও পরিপূর্ণ নাজাতের মধ্য দিয়ে প্রমান করেছে৷

৩৷ এ সকল সত্য ঘটনাগুলো যিনি হৃদয় দিয়ে বিশ্বাস করেন আর সুনিশ্চিত বলে ঘোষণা দেয় তিনিই হলেন নাজাত প্রাপ্ত৷ মসিহই হলেন বিজেতা এ নিশ্চয়তাবোধ বিশ্বাসীদের মনোবল বাড়িয়ে দেয় এবং চালিত করে আনন্দ ও সত্‍সাহসের সাথে ঘোষণা দিতে৷ এ সাক্ষ্যের মাধ্যমে মসিহের জীবনের, রূহের ও শান্তির মধ্যে তিনি একীভূত হয়ে যান৷ যাকে মসিহের মধ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ও যিনি তাঁর ওপর নির্ভর করেন তার পতন কখনোই হবে না৷

৪৷ নিশ্চয়তার ক্রমবৃদ্ধির সাথে সাথে পৌল বলেছেন, যে কেউ মসিহ ঈসার ওপর বিশ্বাস রাখেন, পবিত্র খোদার হাতে তিনি ন্যায়বান হিসেবে গণ্য হয়ে যান, তাকে সকল পাপের দন্ড থেকে করা হয় মুক্ত, শেষ বিচারে তাকে নির্দোষ বলে গণ্য করা হয়েছে আর জোড় কলমের মতো করে মসিহের রুহানি দেহে অর্থা খোদার রুহানি পরিবারের সদস্য করে নেয়া হয়৷ সংক্ষেপে বলতে গেলে, বিশ্বাসীগণ দৃঢ় ও চিরস্থায়ীভাবে মসিহের সাথে যুক্ত হয়ে যান৷ তার বিশ্বাসের সাক্ষ্যের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ নাজাত ও ন্যায়বান হিসেবে পরিগণিত হয়, যা হলো মুক্তপাপ ব্যক্তি, যাকে, খোদা কবুল করে নিয়েছেন৷ নাজাত লাভ করার জন্য এ সাক্ষ্য দেয়া হয় না, কেনা সত্যিকারের নাজাত অর্জিত হয় কেবল বিশ্বাসের মাধ্যমে৷ কিন্তু এ সাক্ষ্য বাস্তবায়িত ও গভীরভাবে প্রমান করে যে, নাজাত তাকে দেয়া হয়েছে তা বাস্তবক্ষেত্রে ও পরিষ্কারভাবে পরিপক্ক হয়েছে৷ ন্যায় প্রতিপদন ও নাজাতদান মসিহের মধ্য দিয়েই হয়ে থাকে, আর তা প্রতিষ্ঠিত ও পরিপক্ক হতে থাকে মসিহের পক্ষে নাজাতপ্রাপ্ত ব্যক্তির সাক্ষ্যের মাধ্যমে৷

৫৷ নতুন ব্যবস্থার যুগে, বিশ্বাসের এ সকল নিদর্শনের মাধ্যমে, আর ন্যায় প্রতিপন্ন হয় অর্জিত কেবল রহমতে, পৌল নিম্নের বিষয়টিকে প্রকাশ করেছেন: মসিহি ও ইহুদিদের মধ্যে কোনো ব্যবধান থাকতে পারে না যদি উভয়ই মসিহে বিশ্বাস স্থাপন করেন এবং রহমতে পেয়ে থাকেন নব জীবন৷ প্রভু তো মাত্র একজনই, একজনই নাজাতদাতা, একজনই মুক্তিদাতা (যিনি স্বীয় পূত্রের পবিত্র রক্তের মূল্যে গুনাহগারদের বেগুনাহ করেছেন)৷ ইহুদি ও অইহুদি সকলের জন্য একজনই নাজাতদাতা৷ ইহুদিরা ইব্রাহিম বা মুসা নবীর দ্বারা নাজাত লাভ করে নি কেবলমাত্র মসিহের দ্বারা৷ মসিহের নাজাত তাঁর পরাক্রম, জীবন ও প্রেম ইহুদি ও মসিহি উভয়ের জন্য সমভাবে প্রযোজ্য৷ দ্বিতীয় আর কোনা সলিববিদ্ধ ব্যক্তি নেই যে কিনা সকলের পাপের প্রায়শ্চিত্ত শোধ দেবার জন্য প্রাণ কোরবানি দিয়েছেন, কেবল মাত্র খোদার শান্ত মেষ শিশু গোটা বিশ্বের পাপের প্রায়শ্চিত্ত নিজ স্কন্ধে তুলে নিয়েছেন৷

৬৷ পৌল পরিষ্কারভাবে বর্ণনা দিয়েছেন মসিহ হলেন ধনি, আর যতলোক তার কাছে যাঞ্চা করে তাদের প্রত্যেককেই তাঁর রুহানি ধনকোষ থেকে প্রচুর পরিমানে দান করে থাকেন (রোমীয় ১০:১২-১৩)৷ পরাক্রম, আর তাঁর অনন্ত প্রেম তাদের সকলকে দান করেছেন, যারা তাঁর কাছে প্রার্থনা করে, নিজেদের হৃদয় মন তাঁকে সম্পূর্ণভাবে সপে দেন, জীবন্ত মসিহের সম্মুখে, কারো জন্যই কিছু অবশিষ্ট না রেখে, এমনকি কুমারী মরিয়মের জন্যও অবশিষ্ট না রেখে, নাজাত, পবিত্রকরণ ও মুক্তপাপ ইত্যাদি কিছুই হবে না আপনার বিনম্র আন্তরিক প্রার্থনা ব্যতিত৷ খোদার রহমত সকলের কাছে সহজ লভ্য৷ কিন্তু আমাদের তা খুঁজে নিতে হবে (যোয়েল ২:৩২)৷ আন্তরিক প্রার্থনার মধ্য দিয়ে আমরা পাকরূহের কন্ঠস্বর শুনতে পাই আমাদের মধ্যে থেকে ডেকে ফিরছে: 'পিতা, আব্বা' বলে (রোমীয় ৮:১৫-১৬)৷

রোমীয় ১০:১৫-১৬
১৫. তাছাড়া কেউ না পাঠালে কেমন করে তবলিগকারীরা তবলিগ করবে? পাক-কিতাবে লেখা আছে, মোবারক তাদের পা যারা উপকারের সুসংবাদ তবলিগ করতে আসে৷ ১৬. কিন্তু সবাই সেই সুসংবাদে সাড়া দেয় নি৷ নবী ইশাইয়া বলেছেন, মাবুদ, আমাদের দেওয়া সুসংবাদের ওপর কে ঈমান এনেছে?

এ পাকরূহ আমাদের প্রেরণা দেয় খোদার মেষ শিশুর কাছে পাপস্বীকারের জন্য৷ আর তাঁর মৃতু্যর জন্য তাকে ধন্যবাদ দেয়, তাঁর পুনরুত্থানের জন্য আর অনাগত খোদার গজব থেকে রক্ষা করার জন্য তার সকল পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য৷

আমাদের মধ্যে প্রার্থনাশীল রূহ স্বার্থপর হতে পারে না৷ যে কেউ মসিহের ওপর বিশ্বাস করে তিনি কেবল নিজের জন্য প্রার্থনা করেন না, কিন্তু সকলের জন্য, যাদের শান্তনাদাতা রূহ তার সামনে উপস্থাপন করেন৷ মসিহিয়াতের সূচনা লগ্ন থেকে, ইয়াকুবের বংশধরগণ এভাবে প্রার্থনা করতেন, অইহুদিদের মধ্যে যারা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে তাদের মুক্তির জন্য. আর একইভাবে আমাদের উচিত্‍ বর্তমান মুসলমান ও ইহুদি উভয়ের জন্যই মুনাজাত করা আবশ্যক৷ পাকরূহের অভিপ্রায় হলো প্রচারমুখী অভিযান পরিচালন করা যে, নির্দেশ খোদার মেষ শিশুর তরফ থেকে হচ্ছে চাওয়া (প্রেরিত ১:৮, প্রকাশিক কালাম ৫:৬)৷

৭৷ সাহাবি পৌল বিশ্লেষণ করেছেন, ইয়াকুবের বংশধরদের মধ্য থেকে মসিহে বিশ্বাসীকুলের কাছে, যারা রোম শহরে বসবাস করতো, বাস্তবে কোন পদ্ধতিতে সুসমাচর প্রচার বিতরন করা সহজ, খোদার মনোনীত সন্তান হিসেবে যে কীকরে দূর্বলতা আবেগ অনুভুতির ওপর বিজয় লাভ করা সম্ভব, আর বুদ্ধিপূর্বক প্রচারের কলা-কৌশল পাকরূহ তাদের নিয়ত শিক্ষা দিচ্ছেন৷

অবিশ্বাসীরা কী করে মসিহের ডাক শুনতে পাবে যদি না তারা তাঁর ওপর বিশ্বাস স্থাপন করে? যদি তাঁর বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে শুনতে না পায় তবে কেমন করে তার ওপর বিশ্বাস স্থাপন করবে? একজন বিশ্বাসি প্রচারক ব্যতিত তারা কী করেই বা জানতে পারবে? মসিহ প্রেরণ না করলে প্রচারকইবা কী করে প্রচার করে যাবে? কেবলমাত্র অবিশ্বাসিগণই যে দোষী তা নয় কিন্তু যারা নাজাতের প্রকৃত সত্য জানার পরেও তাদের কাছে প্রচার করেনি, অথচ তারা নিজেদের জীবনে সে অভিজ্ঞতা লাভ করেছে, তারাও একই দোষে দুষ্ট৷ এ বিষয়টি প্রচারের সময় পৌল আফশোস করেছেন, নবী ইশাইয়ার মাধ্যমে প্রভুর যে কথা প্রকাশ পেয়েছে, 'যে লোক সুখবর দিতে আসে, শান্তি ঘোষণা করে, উপকারের সংবাদ নিয়ে আসে, উদ্ধার ঘোষণা করে আর সিয়োনকে বলে, তোমার আল্লাহ রাজত্ব করছেন, পাহাড়ের ওপর দিয়ে আসবার সময় সেই লোকের পা কেমন সুন্দর দেখায়৷' (ইশাইয়া ৫২:৭)৷

পৌলের বর্ণনানুযায়ী এ সুসমাচার স্বীকারোক্তি দিচ্ছে, মসিহ রয়েছেন জীবিত ও রাজ্য শাসন করে চলছেন, আর তাঁর দ্বারা অর্জিত নাজাত সর্বজনের কাছে বিতরণ করে ফিরছেন৷ মসিহের মধ্যে খোদার যে রাজ্য রয়েছে তা-ই হলো বিশ্বাসীদের একমাত্র আনন্দের কারণ৷ তাই আজকে যে কেউ জানতে পারে মসিহ রাজত্ব করে চলছেন এবং তিনি রয়েছেন বহাল তবীয়তে, তিনিই থাকেন আনন্দিত৷ আমরা কি আমাদের বিশ্বাস নিয়ে অলস অথবা ক্লান্ত হয়ে পড়েছি? বর্তমানে কে রয়েছে আবেদন করে তার জবাব পাবার অপেক্ষায় 'তোমার রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হোক' এবং বলে, হ্যা প্রভু, তোমার রাজ্য আমার দেশে প্রতিষ্ঠা লাভ করুক?

প্রার্থনা: হে বেহেশতি পিতা, আমরা তোমার আরাধনা করি, তুমি মসিহকে বেহেশতে তুলে নিয়েছো, আর তাকে প্রভুদের প্রভু হিসেবে মনোনয়ন ও প্রতিষ্ঠা করেছো৷ আমাদের সাহায্য করো জনগণের সাথে তাঁর বিষয়ে জ্ঞানপূর্ণভাবে জ্ঞাত করার জন্য, তিনি যে মৃতু্য থেকে পুনর্জাত হয়ে ওঠেছেন, আর এখন তোমার সাথে রয়েছেন সমাসীন, যেন অনন্ত জীবনের ফুলকি প্রত্যেক শ্রবণকারীর হৃদয় ছুঁয়ে যায়৷

প্রশ্ন:

৬৭. বিশ্বাস এবং সাক্ষ্যের মধ্যে কোন ধরণের সম্পর্ক কাজ করে?
৬৮. পৌলের অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে হবে বাস্তবে কি করে বিশ্বাস ও সাক্ষ্য ক্রমান্বয়ে অগ্রগতি এনে দেয়?

www.Waters-of-Life.net

Page last modified on December 14, 2023, at 01:13 AM | powered by PmWiki (pmwiki-2.3.3)