Waters of LifeBiblical Studies in Multiple Languages |
|
Home Bible Treasures Afrikaans |
This page in: -- Albanian -- Arabic -- Armenian -- BENGALI -- Burmese -- Cebuano -- Chinese -- Dioula? -- English -- Farsi? -- French -- Georgian -- Greek -- Hausa -- Hindi -- Igbo -- Indonesian -- Javanese -- Kiswahili -- Kyrgyz -- Malayalam -- Peul -- Portuguese -- Russian -- Serbian -- Somali -- Spanish -- Tamil -- Telugu -- Thai -- Turkish -- Twi -- Urdu -- Uyghur? -- Uzbek -- Vietnamese -- Yiddish -- Yoruba
Previous Lesson -- Next Lesson যোহন - নূর অন্ধকারের মধ্যে জ্বলছে
যোহন বর্ণীত মসিহের নাজাতের বারতার সুসমাচার ওপর অধ্যয়ন
দ্বিতীয় খণ্ড - নূর অন্ধকারের মধ্যে জ্বলিতেছে (যোহন ৫:১ - ১১:৫৪)
সি - জেরুজালেমে ঈসা মসিহের শেষ যাত্রা (যোহন ৭:১ - ১১:৫৪) -- অন্ধকার ও নূরের পৃথককরণ
৪. লাসারের পুনুরুত্থান ও তার উদ্ভুদ ফলাফল (যোহন ১০:৪০ - ১১:৫৪)
খ) ঈসা মসিহ মার্থা এবং মরিয়মের সাথে দেখা করলেন (যোহন ১১:১৭-৩৩)যোহন ১১:১৭-১৯ লাসারকে কবরে রাখার পর চারদিন অতিবাহিত হয়ে গিয়েছিল; যেদিন সে মারা গিয়েছিল সেই দিনই তাকে দাফন করা হয়েছিল, এবং খবরটি ঈসা মসিহের কাছে সেদিন পৌছেছিল৷ সেই মুর্হুতেই ঈসা মসিহের সেখানে পৌছানোর কোন কারণ ছিল না যেহেতু তার বন্ধুকে ইতিমধ্যেই দাফন করা হয়েছিল৷ নি:সন্দেহে মৃতু্যর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছিল৷ বেথানিয়া জৈতুন পাহাড়ের পূর্বে অবস্থিত ছিল যা জর্দানের মুখোমুখি ছিল এবং ১০০০ মিটার নীচুতে ছিল৷ যা ডেড সি এর বাইরে ছিল৷ কিদ্রন উপত্যাকার বাইরে একটি পাহাড়ের ওপর তিন কিলোমিটার পশ্চিমে জেরুজালেম অবস্থিত৷ মৃত ব্যক্তির অনেক বন্ধুরা তার বাড়ীতে এসেছিল, তারা কাঁদছিল এবং বুক চাপড়াচ্ছিল৷ বিশেষ করে দু:খের বিষয় ছিল যেহেতু লাসার পরিবারের একাই উপাজনক্ষম ব্যক্তি ছিল৷ মৃতু্যর ছায়া জনসমাবেশের সবাইকেই ছেয়ে ফেলেছি৷ যোহন ১১:২০-২৪ মার্থা যখন শুনলো ঈসা মসিহ কাছাকাছি এসেছেন, সে বিলাপ করতে করতে তাড়াতাড়ি তার দিকে এসিয়ে গেল; এবং নিজে নিজে এই চিন্তা করতে লাগলো যদি তিনি সময়মতো আসতেন তাহলে এই দুঃস্বপ্ন তাদেরকে আঘাত করতো না৷ মার্থা তার বিশ্বাসের ব্যাপারে প্রকাশ করেছিল যখন তাদের একে অপরের সাথে দেখা হয়েছিল এবং ঈসা মসিহের সীমাহীন ক্ষমতার ওপর তার আস্থা ছিল৷ সে তার দুঃখ প্রকাশ করতে দেরী করলো না৷ কিন্তু তার বিশ্বাসের ব্যাপারে বললো যে, তিনি তার মৃতু্য ঢেকাতে পারতেন; কিন্তু সে জানতো না কি করে৷ কিন্তু সে তার সম্পূর্ণ কর্তৃত্বের ওপর বিশ্বাস করতো এবং ঈসা মসিহের সাথে খোদার বন্ধনের বিষয়ও বিশ্বাস করতো, যিনি সব সময় তার পুত্রের প্রার্থনার উত্তর দিতেন৷ ঈসা মসিহ তাত্ক্ষনিকভাবে তার বিশ্বাসের ব্যাপারে একটি শক্তিমান প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে জবাব দিল, 'তোমার ভাই জেগে উঠবে৷' সে পুরোপুরি এ বাক্যকে উপলব্ধি করতে পারলো না কিন্তু এই প্রতিশ্রুতিকে মনে করলো তার ভাইয়ের মেষ পুনুরুত্থানের বিষয়৷ সে তখন আশাবাদী হলো এই কথা উপলব্ধি করে যে মৃতু্যই সব কিছুর মেষ নয়৷ পুনুরুত্থিত হয়ে জীবন ফিরে পাওয়া যা বিশ্বাসীরা প্রত্যাশা করে৷ যোহন ১১:২৫-২৭ সাহাবিদের কথা শুনে ঈসা মসিহ মার্থাকে সেই বড় উদ্ধৃতিটি দিয়ে বললেন, 'পুনুরুত্থান নিশ্চিতভাবে আসবে সেটা এখানেই আমার মধ্য দিয়েই৷ এটা না যে সে পুনুরুত্থানের দিনে উত্থিত হবে কিন্তু সে আজই আমার উপস্থিতিতে উত্থিত হবে৷ আমিই স্রষ্টা; আমার কাছ থেকেই পাকরুহ বেরিয়ে তোমাদের কাছে যায়৷ তোমাদের পরিবর্তে আমি মৃতু্যবরণ করব তোমাদের পাপসমূহ তুলে নিতে এবং তোমাদেরকে বেহেশতি জীবন দিতে৷ মৃতু্য তোমাদের ওপর রাজত্ব করতে পারবে না৷ শীঘ্রই আমার দ্বারা তোমাদের পুনুরুত্থানে বিষয় নিশ্চিত করবো৷ যাতে করে তোমরা সমাহিত হবে এবং বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে আবার উত্থিত হবে৷ আমার মৃতু্য তোমাদেই, আমার জীবনও তোমাদেরই৷ আমি বেঁচে থাকি এবং তোমরাও আমার মধ্যে বেঁচে থাক৷' ঈসা মসিহের জীবন গ্রহণ করার একটি শর্ত আছে তাহলো ঈসা মসিহের সাথে বিশ্বাসের চুক্তি৷ জীবনের স্রোত তার কাচ থেকে তোমাদের মধ্যে প্রবাহিত হবে না যদি না তোমরা তার সাতে দাসত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হও৷ ঈসা মসিহের ওপর আমাদের বিশ্বাস পিতা এবং অনন্ত জীবনের কাছে আমাদের উপলব্ধিকে উম্মোচিত করে৷ তার ভালোবাসা আমাদের মধ্যে আনন্দ, শান্তি তৈরি করে যা কখনো মেষ হয় না৷ যে ব্যক্তি ঈসা মসিহের ভালোবাসায় পরিপূর্ণ সে কখনো মরবে না কারণ খোদার রুহ হলো চিরস্থায়ী৷ এই রুহ তাদের হৃদয়ে বাস করে যারা ঈসা মসিহের ওপর ঈমান আনে৷ লাসারকে উত্থিত করবার মধ্য দিয়ে মৃতু্যর ওপর তার বিজয়কে কোন আলোড়িত বক্তৃতার মধ্য দিয়ে যারা বেঁচে আছে তিনি তাদের নিশ্চিত করেছেন যে মৃতু্য তাদের ওপর কতর্ৃত্ব করত পারবে না যেহেতু তারা ইতিমধ্যেই তার পুনুরুত্থানের মধ্যে অংশ গ্রহণ করেছে৷ তার মুখ থেকে এই নিঃশর্ত প্রতিশ্রুতির ক্ষমতাকে কি আপনি উপলব্ধি করতে পেরেছেন? আপনি যদি তার ওপর ঈমান আনেন আপনি মরবেন না আপনার কাছে এসিয়ে আসা মৃতু্য বা কবরের বিষয়ে চিন্তা করবেন না; বরং আপনার চোখকে ঈসা মসিহের দিকে তুলে ধরেন৷ তার এই প্রতিশ্রুতির জন্য তাকে ধন্যবাদ দেন, কারণ তিনি আপনাকে অনন্ত জীবনে প্রবর্তন করবেন৷ প্রিয় ভাই জীবনদাতা ঈসা মসিহের ওপর কি আপনি ঈমান এনেছেন? আপনি কি ব্যক্তিগতভাবে এই অভিজতা লাভ করেছেনে যে তিনি আপনাকে মৃতু্যর কর্তৃত্ব থেকে মুক্ত করেছেন এবং পাপের কলুষত থেকে আপনাকে তুলে এনেেিছ? আপনি যদি এই আধ্যত্মিক উত্থানের অভিজ্ঞতা লাভ না করে থাকেন, আমরা আপনাকে নিশ্চিত করছি যে জীবনের প্রভু আপনার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন এবং তার হাত দুটো আপনার দিকে প্রসারিত করে আছেন৷ তার ভালোবাসা এবং ক্ষমতার ওপর বিশ্বাস রাখেন৷ তার হাত ধরেন এবং তিনি আপনার পাপসমূহ থেকে তুলে আনবেন এবং আপনাকে অনন্ত জীবনের দিকে নিয়ে যাবেন৷ তিনি হলেন আপনার একমাত্র বিশ্বস্থ নাজাতদাতা৷ ঈসা মসিহের প্রতিশ্রুতি মার্থা গ্রহণ করেছিল৷ সে কেবলমাত্র অনন্ত জীবনের অবিজ্ঞতা নয় কিন্তু তিনি যে জীবনদাতা তার অভিজ্ঞতা লাভ করেছিল৷ সে বিশ্বাস করেছিল যে ঈসা মসিহ ছিলেন প্রতিশ্রুতি নাজাতদাতা, যার মৃতু্যকে উত্থিত করবার ক্ষমতা ছিল৷ শেষ বিচারের ওপর কতর্ৃত্ব তার আছে৷ সে (মার্থা) তার ভিতরে ঈসা মসিহের শক্তি প্রবাহিত হবার অভিজ্ঞতা লাভ করেছিল যা তাকে জাগিয়েছিল এবং পাপমুক্ত করেছিল৷ সে তার সাহসের সাথে তার বিশ্বাসের সাক্ষ্য উচ্চারণ করেছিল৷ এমনকি যদিও সে জানতো ঈসা মসিহ নিজেকে খোদার পুত্র হিসেবে ঘোষণার জন্য ইহুদিরা তাকে পাথর মারতে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল৷ সে মৃতু্যকে ভয় পায়নি, কিন্তু তার নাজাতদাতাকে ভালোবেসেছিল৷ একজন মহিলার এই সাহস পুরুষদেরকে লজ্বা দেয়৷ ভালোবাসার মধ্যে দিয়ে তার আস্থা শক্তিশালী হয়ে বেড়ে উঠেছেল৷ প্রার্থনা: প্রভু ঈসা মসিহ, তুমি শাশ্বতভাবে মহত্৷ তোমার ওপর মৃতু্যর কোন কর্তৃত্ব নাই৷ আমাদের পরিবর্তে তুমি মরেছিলে এবং তোমার পুনুরুত্থানের মধ্য দিয়ে আমাদেরকে উত্থিত করেছ৷ আমরা তোমার এবাদত করি এবং তোমাকে ধন্যবাদ দেই৷ তোমার জীবনের সাথে আমাদেরকে অংশীদার করেছ যাতে করে মৃতু্য আর যেন আমাদের ওপর কর্তৃত্ব করতে না পারে৷ আমরা তোমাকে ভালোবাসি এবং আমাদের অপরাধ ভয় এবং মৃতু্যর থেকে মুক্ত করার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ দেই৷ প্রশ্ন: ৭৬. আজ কেমন করে আমরা মৃতু্যর থেকে উত্থিত হই?
যোহন ১১:২৮-৩১ সম্ভবত ঈসা মসিহ মরিয়মকে তার কাছে আনবার জন্য মার্থাকে অনুরোধ করলো যাতে করে সে তার কাছ থেকে বিশ্বাসের কথা শুনতে পারে এবং শোকার্তদের আহাজারী উপেক্ষা করে সান্তনা পেতে পারে৷ তার ফলে সে ঈসা মসিহের ভালোবাসার মধ্য দিয়ে তার বিশ্বাসের বৃদ্ধি ঘটাতে পারে৷ ঈসা মসিহ বিশ্বাসের দৃঢ়তার মধ্য দিয়ে জয় হতেন, হতাশা এবং দুঃখের মধ্য দিয়ে নয়৷ তিনি শোকার্ত মরিয়মকে চেয়েছিলেন খোদার নূরের কাছে আনতে, যাতে করে সে বেঁচে থাকে এবং আধ্যাত্মিকভাবে সক্রিয় হয়৷ মরিয়ম হয়তো ঈসা মসিহের আগমনের কথা শোনে নাই, কারণ সে দুঃখে নিমজ্জিত ছিল৷ যাইহোক, যখন মার্থা তার কাছে ফিরে আসলো এবং বললো যে ঈসা মসিহ তাকে খুঁজছে, সে উদ্বিগ্নভাবে উঠে প্রভুর সাথে দেখা করতে গেল৷ উপস্থিত সবাই তার ব্যবহারে এতেঠই আশ্চর্য হলো যে তারা তাকে জিজ্ঞেস করলো সে কবরের কাছে যেয়ে কাঁদতে যাচ্ছে কিনা৷ তারা সবাই উঠে দাড়ালো এবং তাকে কবরের দিকে অনুসরণ করলো, এটা মানব জীবনের একটি উদাহরণ যা মানুষকে বিষন্নতা এবং দুর্দশাগ্রস্থ করে৷ যেখানে দর্শন এবং ধর্ম জীবন এবং মৃতু্যর সমস্যার বিষয় কোন সঠিক জবাব দিতে পারে না যা একটি মসিহ অনুসারীর মধ্যে মৃতু্যর ব্যাপারে আশানি্নত থাকে এবং পুরো সান্তনার মধ্যে থাকে৷ যোহন ১১:৩২-৩৩ মরিয়ম ঈসা মসিহকে দেখলো এবং আবেগপূর্ণ ভঙ্গিতে তার পায়ের ওপর আছড়িয়ে পড়লো একজন ভগ্ন হৃদয় গ্রস্থের মতো৷ সে অবনত হয়ে তার বিশ্বাসকে স্বীকার করলো, এই আস্থা নিয়ে যে তিনি বেহেশতি মোজেজা সম্পাদন করতে সক্ষম ছিলেন৷ যদি শুধুমাত্র কিছু আগে তিনি উপস্থিত থাকতেন তাহলে তার ভাই মারা যেত না৷ এই দৃঢ় বিশ্বাস স্পষ্ট করেছে যা তার বাড়ীর লোকজনদের কাছেও স্পষ্ট, সেটা হলো যে ঈসা মসিহের মধ্যে খোদা উপস্থিত ছিলেন৷ কিন্তু মৃতু্য সেই বিশ্বাসকে নড়বড়ে করে দিয়েছিল এবং দুই বোনকে হতবুদ্ধ করেছিল৷ যখন ঈসা মসিহ তার আস্থাভাজন অনুসারীদের মধ্যে অন্যান্য লোকদের সাথে খুব অস্থিত হয়েছিলেন৷ তিনি লক্ষ করেছিলেন কেমন করে তারা সবাই মৃতু্যর প্রভাবে আছন্ন হয়ে গিয়েছিল৷ তিনি তাদের কান্না দেখে দুঃখিত হলেন এবং উপলব্ধি করলেন যে এই দুনিয়া শয়তানের শক্তিতে পরিপূর্ণ৷ তিনি আবার অনুভব করলেন দুনিয়ার পাপসমুহের বার তার কাঁদের ওপর চাপ দিচ্ছে এবং ক্রুমের প্রয়োজনীয়তা অন্তরে দেখতে পেলেন এবং বুঝলেন এই দুঃখকে অতিক্রম করার একমাত্র উপায় হলো কবরকে খুলে দেওয়া৷ তিনি পুনুরুত্থানের ব্যাপারে সম্পূর্ণ নিশ্চিত ছিলেন যা ঘটতে যাচ্ছিল৷ এটাই হলো মৃতু্য, অবিশ্বাস এবং সর্বনাশের বিষয়ে চুড়ান্ত বিচার৷ |